বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১২

তারেক-কোকোর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির মামলার শুনানি ১৭ জানুয়ারি

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির মামলার শুনানি আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১-এর বিচারক রবি-উজ-জামান এ আদেশ দেন।
গত ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করেন।



তারেক ও কোকো ছাড়াও মামলায় ড্যান্ডি ডাইং প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস, শাহীন, মেয়ে সুমাইয়া ও সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমানের ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এবং অন্য দুই পরিচালক মোজাফফর আহমেদ ও কাজী গালিব আবদুস সাত্তারকে বিবাদী করা হয়।
তবে মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তাঁর উত্তরাধিকারীদের বিবাদী করতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক। আজ শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে তিন কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং। ১৯৯৩ সালের ৫ মে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে সাঈদ এস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ঋণ মঞ্জুর করেন। ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ড্যান্ডি ডায়িংকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। মামলার আরজিতে বলা হয়, ঋণ গ্রহণের প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি খেলাপি হয়ে পড়ে।
সোনালী ব্যাংক থেকে বিবাদী প্রতিষ্ঠানকে কিস্তি পরিশোধের জন্য বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০১ সালে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করেছিল।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, বিবাদীদের ব্যাংক থেকে একাধিকবার ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদী প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ঋণের টাকা আদায়ের জন্য আদালতে এ মামলা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর সাঈদ এস্কান্দার মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলায় বিবাদী করা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন